সফল ফ্রিল্যান্সারদের ৮টি গুনাগুণ সম্পর্কে জানুন

কেমন আছন সবাই । আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো ফ্রিল্যান্সারদের গুনাগুণ সম্পর্কে। সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে যে বিষয় গুলো মনে রাখতে হবে আবশ্যই । আপনার কাজের পাশাপাশি যদি নিচের আলোচিত বিষয় গুলো মনে রাখতে পারেন তাহলে আপন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পাড়বেন। আসুন আলোচনায় আসি.......

যোগাযোগের দক্ষতাঃ-

ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে আবশ্যই আপনার কমিউনিকেসন স্কিল বা যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে। কারণ কাজের জন্য আপনাকে বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে যোগাযোগে করতে হবে। আপনি যদি ক্লায়েন্ট সাথে সঠিক ভাবে কমিউনিকেসন বলতে না পারেন তাহলে আপনি কাজ ও পাবেন না। সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না।

গ্রাহক সেবাঃ-

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে গ্রাহক সেবা মান ( যেমন ক্লায়েন্ট সময় অনুযায়ী কাজ ডেলিভারি দেয়া, ক্লায়েন্টকে সব সময় প্রজেক্ট সম্পর্কে সব কিছু অবহিত করা।) এক কথায় সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে অনেক ভালো মানের গ্রাহক সেবা দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সময়উপযোগী দক্ষতাঃ-
ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনি যে বিষয়েই কাজ করেন না কেন সেটা হক ডিজাইনইং বা লেখনী কিম্বা প্রোগ্রামিং আপনার কোন একটি নিদিষ্ট বিষয় উপর সময়উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে। এতে করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার বিকশিত হবে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনাঃ-

একজন ফ্রিলান্সারের কার্য তালিকায় সব সময় ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প বা প্রজেক্ট অথবা থাকে। সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে আপনার দায়িত্ব হবে প্রকল্পগুলো ক্লায়েন্টের শর্ত আনুযায়ী সময়মত সঠিকভাবে সম্পন্ন করা। এইজন্য আপনাকে সকল প্রকল্প বা প্রজেক্টের বিস্তারিত তথ্যে সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।

সমস্যা নির্ণয় ও সমাধানের দক্ষতাঃ-

ভালো ফ্রিলান্সারের অন্যতম গুণ হল কাজ শেষ করার পর কাজের খুঁটিনাটি পুনরায় পরীক্ষা করা। কারণ যে কাজটি আপনি ক্লায়েন্টের নিকট জমা দিবেন সে কাজেটিতে যদি সমস্যা থাকে তাহলে ক্লায়েন্ট খারাপ রিভিউ দিবে। আর যদি খারাপ রিভিউ দেয় তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের অনেক ক্ষতি হবে। তাই আপনার সমস্যা নির্ণয় করার গুণাবলী থাকা আবশ্যিক। এবং সমস্যা সঠিকভাবে বস্তুনিষ্ঠতা সাথে সুন্দর ভাবে সমাধান করে ক্লায়েন্টের নিকট কাজ উপস্থাপনা করুন। তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার উন্নতি হবে।

সময় জ্ঞানঃ

একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই সময় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকা আবশ্যিক। কোন একটি কাজ করতে কত সময় লাগবে সেটা যদি আপনি আইডিয়া করতে পারেন তাহলে আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পাড়বেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সময়ের গুরুত্ব অনেক। এবং কাজ ক্লায়েন্টের নিকট জমা দেয়ার ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তীতা আবশ্যিক।

মার্কেটিং করাঃ

কথায় আছে প্রচারেই প্রসার। আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজ যদি ব্যবসায় টাইপের হয় তাহলে আপনি ঠিকঠাক মত মার্কেটিং করুন। শুধু ফ্রিল্যান্সিং করে গেলেন মার্কেটিং করলেন না তাহলে আপনার ব্যবসায়ের প্রসার হবে না। ব্যবসায় ফ্রিল্যান্সিং এ মার্কেটিং আবশ্যিক।

উপরে সফল ফ্রিল্যান্সার সম্পর্কে যেসব আলোচনা করা হয়েছে আপনারা যদি তা অনুসরণ করেন আশা করি আপনার সফলতা নিশ্চিত। পরিশেষে বলতে চাই যদি লেখার মাঝে কোন ভুল হয় কমেন্ট করে জানাবেন।